দেশে প্রথম উটপাখির খামার করে সফলতা পেয়েছেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার আরজুমান আরা। প্রথমদিকে পরীক্ষামূলক উটপাখি লালন-পালন করলেও এখন বানিজ্যিক ভাবে খামার গড়ে তুলেছেন তিনি। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে উটপাখি দেশে মাংসের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নেপালে বেড়াতে গিয়ে উটপাখির খামার দেখে উব্দুদ্ধ হন আরজুমান আরা। দেশে ফিরে নিজ এলাকা, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে গড়ে তুলেন উটপাখির খামার। গত বছর আফ্রিকা থেকে ২৪টি উটপাখির বাচ্চা সংগ্রহ করে নিজ খামারে লালন পালন শুরু করেন তিনি। মাত্র ৬ মাস বয়সে এসব উটপাখির ওজন এখন ৮০ থেকে ৯০ কেজি। উটপাখি গরুর বিকল্প মাংস হিসেবে ব্যবহারের পাশাপশি চাহিদা থাকায় বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যও তার।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব উটপাখি কোন রোগবালাই ছাড়াই দিন-দিন খামরে বেড়ে উঠছে। সাধারণ খাবারের মতোই পল্ট্রি ফিড আর কলমি শাক খাওয়ানো হয় এসব উটপাখিকে। খামার গড়ে ওঠায় কর্মসংস্থানও হয়েছে এলাকার অনেক মানুষের।

আফ্রিকান এই পাখিটি বাংলাদেশের আবহাওয়ার সাথে মানানসই হওয়াই উটপাখি খামারে উজ্জল সম্ভাবনা দেখছেন স্থানীয় প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তারা। উটপাখি পালনে নিয়োমিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তারা।

উটপাখি আড়াই থেকে ৩ বছরে ডিম দেয়া শুরু করে। বছরে ৬০ থেকে ৭০টি ডিম দেয়। আন্তর্জাতিক বাজারে এক কেজি উটপাখির মাংসের দাম ৯০ মার্কিন ডলার বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

Facebook Comments

You may also like

বীরগঞ্জে ইট ভাটা মালিকের তান্ডবে নারীসহ ৭ জন হাসপাতালে

আবাদি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় নিয়ে যাওয়ার