মোঃ আশিক মুন্না । খানসামায় ধান, গম, ভুট্টা ও পাটসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করে বিভিন্ন সময়ে ক্ষতির শিকার হওয়া কৃষকেরা এবার পটলের আবাদ করে লাভবান হওয়ার ইচ্ছা পোষন করেছেন। ভালো দাম এবং সারা বছর চাহিদা থাকায় দিন দিন পটলের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনাজপুরের খানসামায়।

খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের দুয়ানী কাশিমনগর গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান গত ০২ বছর ধরে ৩০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে পটলের আবাদ করেন। গত ০২ বছরে ব্যাপক সফলতা পান। সেই কারণে চলতি মৌসুমে তিনি বাড়িয়েছেন পটল আবাদের জমি। এ বছর ৪৫ শতাংশ জমিতে পটলের আবাদ করেছেন তিনি।

মিজানুরের এই সাফল্য দেখে একই এলাকার সেলিম রানা,মজিবর রহমান,সোলায়মান আলীসহ উপজেলায় শতাধিক চাষি পটলের আবাদে ঝুঁকেছেন।

পটল আবাদকারীরা জানান, জমি তৈরি থেকে শুরু করে বীজ, জৈব সার, বালাইনাশক, পটলের মাচা তৈরিসহ সব মিলিয়ে এক বিঘা জমিতে খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে এক বিঘা জমি থেকে এক থেকে দেড় লাখ টাকার পটল উৎপাদন হয়।

তারা জানান, পটলের চারা রোপণের তিন মাসের মধ্যে পটল তোলা শুরু হয়। আর এটি এক টানা আট-নয় মাস পটল তোলা যায়। আর পটলের চাহিদা সারা বছরই থাকে। আর তাই তারা পটল আবাদ করে এবছরেও লাভবান হওয়ার আশা করছেন।

Facebook Comments

You may also like

বীরগঞ্জে ইট ভাটা মালিকের তান্ডবে নারীসহ ৭ জন হাসপাতালে

আবাদি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় নিয়ে যাওয়ার