নাজমুল হাসান সাগর | আজ ষোলই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশিদের অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা ও নয় মাস রক্তক্ষয়ী লড়াই-সংগ্রামের পর স্বাধীনতা অর্জন হয়েছিলো ১৯৭১ সনের আজকের এই দিনে। দিনটিকে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে নানা পর্যায়ে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে পালন ও উৎযাপন করছে সারা দেশ।
অথচ দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার গ্রামগুলো ঘুরে দেখা যায় সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারি আদেশের দায়সারা আনুষ্ঠানিকতা থাকলেও নেই কোন আয়োজন ও উৎযাপন।
বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ী হাই স্কুল মাঠে সকাল বেলা পতাকা উত্তোলনের পরে উদ্বোধন করা হয় দুই দিন ব্যাপি খেলা ধুলার। পাশাপাশি থাকায় বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান সন্মিলিত ভাবে এই আয়োজন করলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো নগন্য।
তারপর ঝাড়বাড়ী মহা বিদ্যালয়ে পতাকা উড়তে দেখলেও চোখে পরেনি কলেজ সংশ্লিষ্ঠ কোন ব্যক্তিবর্গকে। ছাত্র-ছাত্রী থাকার তো প্রশ্নই আসে না। ঝাড়বাড়ী আমজাদীয়া দাখিল মাদ্রাসারও একই অবস্থা।
এদিকে মুচিবাড়ী দ্বীমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে দেখা যায় পতাকা উত্তোলনের সময়ে গুটি কয়েক শিক্ষক উপস্থিত থাকলেও উপস্থিত ছিলো না কোন ছাত্র-ছাত্রী। ধুলাউড়ী কাশিমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে একটু ভিন্নতা দেখা যায়, কিছু শিক্ষক আর কিছু ছাত্রী উপস্থিত আছেন কিন্তু নেই কোন আনুষ্ঠানিকতা। উপজেলার গ্রামীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় প্রত্যেকটিতেই চোখে পড়েছে একই দৃশ্য।
এমন পরিস্থিতি দেখে মুচিবাড়ীর বাসিন্দা মামুুন সরকার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ছাত্র-ছাত্রী বিহীন বিজয় দিবসের পতাকা উত্তোলিত হল মুচিবাড়ী দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়, শতগ্রাম, বীরগঞ্জ , দিনাজপুরে। এটা কি বিদ্যালয়ের পরিবেশ হওয়া উচিৎ? বিবেকবানদের নিকট প্রশ্ন!
বিশেষ করে প্রাইমারী স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোয় চোখে পরেনি ন্যুনতম আনুষ্ঠানিকতা। অথচ সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম হবার কথা ছিলো অন্য রকম।