বীরগঞ্জ নিউজ২৪ ডেস্কঃ
শ্বশুরকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে তার সামনেই পুত্রবধূকে নগ্ন করে চলছে মারধর! একপর্যায়ে ওই গৃহবধূর যৌনাঙ্গে মরিচের গুঁড়ো ঢুকিয়ে দিয়ে চলে নারকীয় নির্যাতন। শুধু তাই নয়, পুরো ঘটনাটি মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেয় সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের অসমের করিমগঞ্জ এলাকায় এমনই একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। যা ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ঐ নারী করিমগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করার পর ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে অসম পুলিশের ডিজি কুলধর সইকিয়া বলেছেন, ‘পুলিশে অভিযোগ জানালে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে বলে নারীকে হুমকি দেয়া হয়েছিল। আমরা ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছি। বাকি অভিযুক্তদেরও খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।’
অভিযোগপত্রে ওই নারী লিখেছেন, ‘১০ সেপ্টেম্বর সকালে আচমকাই দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে পড়ে ৬ থেকে ৭ জন যুবক। দাবি করে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পাওয়া ৮৫ হাজার টাকা তাদের দিয়ে দিতে হবে। আমি অস্বীকার করতেই বেআইনি মদ বিক্রির অভিযোগ তুলে মারধর শুরু করে। তার মধ্যেই বাড়িতে জড়ো হন গ্রামবাসীরাও। আমার শ্বশুরকে গাছে বেঁধে ফেলে ওরা। তার সামনেই আমাকে নগ্ন করে চলে মারধর। শেষে আমার যৌনাঙ্গে মরিচের গুঁড়া ঢুকিয়ে দেয়। টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি পর ওই অবস্থাতেই আমাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সবাই।’করিমগঞ্জের অসম-মিজোরাম সীমানার আদিবাসী অধ্যুষিত মাগুরা গ্রামের বাসিন্দা নির্যাতিতা ওই নারী ।
তিনি আরও জানান, ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনেও আলাদা মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত, তা চিহ্নিত করে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া জারি রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার গৌরব উপাধ্যায়।
করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার গৌরব উপাধ্যায় এ ব্যাপারে জানান, ওই নারীর ওপর অত্যাচার, অমানবিক মারধর সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।
Facebook Comments