নিজস্ব প্রতিবেদক
পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌরশহররে দোকানগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। গত সপ্তাহে যারা বাজারে সয়াবিন তেল কিনেছেন এ সপ্তাহে এসে বাজারে তেল পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি ক্রেতাদের। আবার যদি সয়াবিন তেল কোন এক দোকানে পাওয়া যাচ্ছে তাও আবার বেশী দামে কিনতে হচ্ছে।
শহর ছাড়া গ্রামীণ এলাকাগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন কিংবা পাম ওয়েল নেই বললেই চলে। সব মিলে রমজানে বড় সংকট তেলে-এমন শঙ্কা প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। এ অবস্থায় পৌরশহরে বাজার করতে আসা এক ক্রেতা জানান, গত সপ্তাহে বাজারে এসে সয়াবিন তেল কিনেছিলেন। দাম অনেকটা কম ছিল। রমজানের খরচ করতে এসে দোকানে দেখা যাচ্ছে তেলের সংকট। বিক্রেতাদের কাছে তেল চাইলে তারা দাম হাকাচ্ছেন বেশী।
দেশে ভোজ্যতেলের কোনো সংকট নেই। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার এক লাখ টনের বেশি আমদানি হয়েছে। এছাড়া পাইপলাইনে আছে আরও ৮ লাখ টনের বেশি, যা দেশে ঢোকার অপেক্ষায় আছে। তারপরও বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজার থেকে উধাও। বিশ্লেষকরা মনে করছেন এর পেছনে শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারিভাবে ফের দাম বাড়াতে দেশের ৬-৭টি কোম্পানি ভোক্তাকে জিম্মি করে রেখেছে। সরবরাহ কমিয়ে তেলশূন্য করা হয়েছে বাজার। কর্তৃপক্ষের কাছে প্রমাণ থাকলেও অদৃশ্য শক্তির কাছে তারা বারবার মাথা নত করছে। এতে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে সেই চিহ্নিত সিন্ডেকেট। ফলে বাজারে অসহায়ত্ব প্রকাশ করছেন ভোক্তা।
বীরগঞ্জ পৌরশহরের মধ্য বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, গত কয়েকদিন পূর্বেও আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ লি. সয়াবিন তেল ৮৫২ টাকা করে কিনেছি, পাম ওয়েল ছিল এর কিছু কম। সেই সয়াবিন তেল একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আমাকে কিনতে হচ্ছে ৯৯০ টাকা দরে। তাহলে এবার বলেন, এই সয়াবিন তেল আমাকে কত দামে বিক্রি করতে হবে। ব্যবসায়ীরা স্বীকার সয়াবিন তেলের বাজার বড় একটি সিন্ডিকেটের হাতে জিন্মি। নতুন করে দাম বাড়াতেই কোম্পানিগুলো এমন করছে। সরকার দাম বাড়িয়ে দিলেই বাজারে তেলের অভাব থাকবে না। ডিলাররাও আমাদের এমন কথা বলেছে।