ডেস্ক রিপোর্টঃ 

বেশকিছু পণ্যের দাম কমবে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে। শুল্ক ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিউটি কমানোর ফলে অনেক পণ্যের আবার দামও কমে যাবে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ‘সমৃদ্ধ আগামী পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন মুহিত। চলতি অর্থবছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ আকার বেড়েছে প্রস্তাবিত বাজেটের।

প্রস্তাবিত এ বাজেটে যেসব পণ্যের দাম কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে মোটরসাইকেল, হাইব্রিড গাড়ি, বীজ ও ওষুধ ইত্যাদি।

মোটরসাইকেলঃ দেশীয় মোটরসাইকেল উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বহাল রাখা হয়েছে। এতে দাম না কমলেও আগের দামেই মোটরসাইকেল কেনা যাবে।

হাওয়াই চপ্পলঃ শর্তসাপেক্ষে ১৫০ টাকা পর্যন্ত প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল ও পাদুকার ওপর ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এতে এ জাতীয় পণ্যের দাম কমবে।

বীজঃ কৃষিকাজে ব্যবহৃত বীজ আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ফলে চাষাবাদে ব্যবহৃত বীজের দাম কমতে পারে।

হাইব্রিড গাড়িঃ পরিবেশ দূষণ এবং জ্বালানি ব্যয় কমিয়ে আনার জন্য হাইব্রিড গাড়ির আমদানি উৎসাহিত করার জন্য ১৮শ’ সিসি পর্যন্ত হাইব্রিড মোটরগাড়ি আমদানি সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হচ্ছে।

ওষুধঃ কিডনি রোগের প্রতিষেধক আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এতে কিডনি রোগীরা কিছুটা কম দামে হলেও ওষুধ কিনতে পারবেন।

পাউরুটি ও কেকঃ দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষেরা প্রতিকেজি ১০০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত পাউরুটি ও বনরুটি, হাতে তৈরি বিস্কুট ও হাতে তৈরি কেক (পার্টিকেক ব্যতীত) খেয়ে থাকেন। তাই প্রতিকেজি ১০০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত পাউরুটি, বনরুটি, হাতে তৈরি বিস্কুট এবং ১৫০ টাকা পর্যন্ত হাতে তৈরি কেক (পার্টিকেক ব্যতীত)-এর উৎপাদন পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি সুবিধা প্রদান করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

কৃষিজমির রেজিস্ট্রেশন ফিঃ কৃষি জমির রেজিস্ট্রেশন ফি কমানো হয়েছে। এর বাইরে রড, সিমেন্ট, বল পয়েন্ট কলম, ক্যানসারের ওষুধ, টায়ার-টিউব তৈরির কাঁচামাল, কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ, ডে কেয়ার হোম সার্ভিস, আমদানি পল্ট্রি খাদ্য, দেশীয় রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসার, গুঁড়ো দুধ।

Facebook Comments

You may also like

ইরানের থেকে ইসরায়েলি সেনারা কতটা শক্তিশালী?

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার বহুদিনের সংঘাত