আমাকে চিনিস, আমি কে? আমি হচ্ছি দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমানের শ্যালক মঞ্জুরুল আলম প্রধান রাজু। আমি প্রকাশ্যে ফেন্সিডিল সেবন করলে কিছুই করার নেই। এমন দাম্ভিকতার সুরে কথা বলেন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের নিম্নমান সহকারি মঞ্জুরুল আলম প্রধান রাজু।
দুলাভাই দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমান একক কতৃর্ত্ব দেখিয়ে শ্যালক মঞ্জুরুল আলম প্রধান রাজুকে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের নিম্নমান সহকারি পদে চাকুরী পাইয়ে দেন। বর্তমানে দুলাভাই পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে একই পদে ৭ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন।
দুলাভাই তোফাজ্জুর রহমান এক সময় শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান , সচিব , ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মত তিন পদের একক দায়িত্ব বহন করতেন সেই দাপট দেখিয়ে শ্যালক মঞ্জুরুল আলম প্রধান রাজু এই শিক্ষা বোর্ডের নিম্নমান সহকারী পদে চাকুরি করে আসছেন। নিম্নমান সহকারির পদে মঞ্জুরুল আলম প্রধান একক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে শিক্ষা বোর্ডকে।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে অনেক দুর দুরান্ত থেকে শিক্ষককেরা আসেন শিক্ষা বোর্ডের কাজ করতে তাদের স্কুল কিংবা কলেজের ফাইল জিম্মি করে অর্থ আদায় করে বলেও অভিযোগ রয়েছে মঞ্জুরুল আলম প্রধানের বিরুদ্ধে। শিক্ষা বোর্ডের অফিস সময়ে বেশির ভাগ সময় বাহিরে ব্যয় করেও কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে সাহস পায় না কারন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের শ্যালক বলে একটা কথা আছে ।
জানা যায়, শিক্ষা অফিস চলাকালে মঞ্জুরুল আলম প্রধান রাজু প্রকাশ্যে ফেন্সিডিল খেয়ে মাতলামি করে গালাগালিজ করলেও কোন ষ্টাফ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস নেই। প্রতিদিন মঞ্জুরুল আলম প্রধান রাজুর ফেন্সিডিল লাগে ৩ বোতল। যার ক্রয় মুল ২১শ’ টাকা এই ফেন্সিডিল ক্রয়ের জন্য শিক্ষা বোর্ডে কাজ করতে আসা শিক্ষকদের অপমান অপদস্ত করে টাকা আদায় করে এই মঞ্জুরুল আলম প্রধান রাজু।
দিনাজপুর পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানায়, ফেন্সিডিল ক্রেতা, বিক্রেতা, সেবনকারি, সরবরাহকারি সমান অপরাধী, মাদকের সাথে জড়িত যত বড়ই কর্মকর্তা থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না ।
সুত্রঃ পূর্ব পশ্চিম
Facebook Comments