মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। টাঙ্গাইলের সন্তোষে নানা কর্মসুচির মধ্যদিয়ে এ দিনটি পালিত হচ্ছে। সকাল থেকেই টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা ভাসানীর মাজারে তাঁর ভক্ত ও অনুসারীসহ হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। দেশের দুরদুরান্ত থেকে তারা এই মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা ভালবাসা জানাতে ছুটে আসেন।

সকাল সাড়ে ৭টায় মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থি’ত ছিলেন। এর পর ভাসানীর পরিবারবর্গের পক্ষ থেকে মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়।

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্ম মওলানা ভাসানীর।  তিনি জীবনের সিংহভাগ কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। সন্তোষের মাটিতেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। গত শতাব্দীর ত্রিশ ও চল্লিশ দশকে আসামে বঙ্গাল খেদা অভিযানের বিরুদ্ধে তার ভূমিকা স্মরণীয়।

তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সর্বশেষ কীর্তি ছিল— ফারাক্কা লং মার্চ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।

Facebook Comments

You may also like

বীরগঞ্জে ইট ভাটা মালিকের তান্ডবে নারীসহ ৭ জন হাসপাতালে

আবাদি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় নিয়ে যাওয়ার